বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪০ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ তাদের বিরুদ্ধে ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, শরীয়তপুরসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক চুরির মামলা রয়েছে। চক্রটির নেতা মো. সুমন।
রোববার দুপুরে নগরীর আমতলা মোড়ে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বিএমপির কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান।
তিনি বলেন, চলতি বছরের ১৯ মার্চ দুপুরে বরিশাল নগরীর কাঠপট্টি এলাকার আশ্রাব অ্যান্ড সন্স নামের জুয়েলারি দোকানটি বন্ধ করে খাবার খেতে বাসায় যান মালিক বাচ্চু তালুকদার। এ সময় সংঘবদ্ধ চোর চক্রটি ব্যস্ততম রাস্তার পাশে লুঙ্গি এবং বিছানার চাদর মেলে ধরে শাটার ও কলাপসিবল গেটের তালা কেটে ভেতরে ঢোকে। এরপর মাত্র সাত মিনিটের মধ্যে চোর চক্রটি ১২৬ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।
ওই দিনই অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন জুয়েলারি মালিক বাচ্চু তালুকদার। পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে জুয়েলারি দোকানের সামনে এবং ভেতরে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ চেক করে।
এতে দেখা যায়, কয়েকজন যুবক দোকানের সামনে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছেন। তবে তাদের নাম-পরিচয় জানতে না পারায় চক্রটির সদস্যদের গ্রেফতারে বিলম্ব ও তদন্তে অগ্রগতি হচ্ছিল না। অবশেষে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার সহকারী কমিশনার মো. রাসেলের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল টানা নয়দিন বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে চক্রের নেতাসহ নয়জনকে গ্রেফতার করে।
সহকারী কমিশনার মো. রাসেল জানান, ঘটনার দিন দোকানের ও আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে কয়েকজন যুবককে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। এটা বাদে চুরির ঘটনা উদঘাটনে আর কোনো ক্লুই পাওয়া যাচ্ছিল না।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ওইদিন দোকানের আশপাশের মোবাইল ফোনের টাওয়ারের ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে আসা-যাওয়া কলের তালিকা অপারেটরদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়। এরপর প্রায় ১৫ হাজার ফোন নম্বরের তালিকা যাচাই-বাছাই করে চোর চক্রের সদস্য মো. লিটনের নম্বর নিশ্চিত হওয়া যায়। এরপর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে জানা যায়, লিটন চট্টগ্রামের হালিশহরে থাকছেন।
৯ দিন আগে ছদ্মবেশে হালিশহরের মাদকাসক্ত একটি নিরাময় কেন্দ্র থেকে লিটনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তার দেয়া তথ্যমতে ঢাকা, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম থেকে চক্রের দলনেতা সুমনসহ আরো আটজনকে গ্রেফতার করা হয়।
Leave a Reply